sakinahealthcenter.com

ছোটবেলায় আমাদের অনেকেই খৎনা নিয়ে গল্প শুনেছি—কেউ বলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, কেউ আবার বলে এটা শুধু প্রথা। আসলে স্বাস্থ্যগত খৎনা কেবল ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অনেক ডাক্তারই বলেন, সঠিকভাবে করা হলে এটি শিশু ও বড়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদে রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এই লেখায় আমরা জানব ডাক্তারি দৃষ্টিভঙ্গি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, নিরাপদ পদ্ধতি এবং পরিবারের সচেতনতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা। চলুন, ভুল ধারণা সরিয়ে সত্য জানার পথে হাঁটি।

স্বাস্থ্যগত খৎনা

স্বাস্থ্যগত খৎনা আসলে এক ধরনের স্বাস্থ্য পরিচর্যার ধাপ, যা অনেকেই শুধু ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক প্রথা হিসেবে দেখে। কিন্তু ডাক্তারি দৃষ্টিতে এটি রোগ প্রতিরোধের একটি কার্যকর উপায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—খৎনা করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), কিছু যৌনবাহিত রোগ এবং কিছু ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। গবেষণায়ও দেখা গেছে, নিরাপদভাবে করা হলে এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সংক্ষেপে, স্বাস্থ্যগত খৎনা শুধু প্রথা নয়—এটি একটি বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে খৎনার গুরুত্ব

খেয়াল করেছেন কি, আমাদের দেশে খৎনা নিয়ে আলোচনা বেশি হয় প্রথা আর ধর্মীয় দিক নিয়ে? কিন্তু ডাক্তারদের কাছে বিষয়টি কেবল বিশ্বাসের নয়, বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষারও। গবেষণায় দেখা গেছে, খৎনা করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), কিছু যৌনবাহিত রোগ এবং কিছু ত্বকের সমস্যা অনেকটাই কমে। সংক্ষেপে বললে, সঠিকভাবে করা খৎনা ভবিষ্যতের অনেক অসুস্থতা ঠেকাতে পারে।

আমার এক আত্মীয়ের ছেলে ছোটবেলায় প্রায়ই মূত্রনালীর সংক্রমণে ভুগত। ডাক্তার পরামর্শ দেন খৎনা করার জন্য। পরে দেখা গেল, তার সংক্রমণ অনেক কমে গেছে এবং সে আরও স্বস্তিতে থাকতে পারছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, খৎনা শুধু প্রথা নয়—এটি এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য বিনিয়োগ। সহজভাবে বললে, সঠিক সময়ে ও নিরাপদ পদ্ধতিতে খৎনা করলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।

দৈনন্দিন জীবনে পরিচ্ছন্নতা রক্ষাও এর একটি বড় দিক। খৎনা করা ব্যক্তিরা সাধারণত ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সহজে সক্ষম হয়। ডাক্তাররা মনে করেন, এ কারণে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ কমে। অর্থাৎ, খৎনা একসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, রোগ প্রতিরোধ আর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দেয়।

ডাক্তারের দৃষ্টিভঙ্গি

আমি প্রথম যখন একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে খৎনার স্বাস্থ্যগত দিক শুনি, তখন অবাক হয়েছিলাম। উনি বললেন, “আমরা অনেক রোগ দেখি, যা সঠিক সময়ে খৎনা করলে এড়ানো যেত।” তাঁর মতে, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিছু যৌনবাহিত রোগ এবং এমনকি ফিমোসিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। সহজভাবে বললে, ডাক্তারদের কাছে খৎনা শুধু প্রথা নয়, এটি একটি প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা পদ্ধতি।

একজন সার্জনের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন, খৎনা মূলত এমন একটি ছোট সার্জারি যা ভবিষ্যতের বড় ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তিনি আমাকে কয়েকটি কেসের কথা শোনান—যেখানে খৎনার পর শিশুদের বারবার সংক্রমণ হওয়া বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ, ডাক্তাররা খৎনাকে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন।

তবে প্রায় সব ডাক্তারই একটি বিষয় জোর দিয়ে বলেন—পদ্ধতিটি যেন হয় সম্পূর্ণ নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত, এবং প্রশিক্ষিত হাতে সম্পন্ন। কারণ ভুলভাবে করলে উপকারের বদলে ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সংক্ষেপে বললে, ডাক্তারের দৃষ্টিতে খৎনা তখনই কার্যকর, যখন তা সঠিক সময়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে হয়।

গবেষণায় খৎনার প্রভাব

আপনি কি জানেন, খৎনা নিয়ে শুধু ডাক্তাররাই নয়—বিশ্বজুড়ে অনেক গবেষকও কাজ করেছেন? বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, সঠিকভাবে খৎনা করা হলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, কিছু যৌনবাহিত রোগ এবং এমনকি পেনাইল ক্যান্সারের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। সহজভাবে বললে, গবেষণার ভাষায় খৎনা এক ধরনের ‘প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন’-এর মতো কাজ করে—যা সারাজীবনের জন্য কিছু বড় অসুখ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।

আমার এক পরিচিত ভাই দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন। সেখানে সরকারের উদ্যোগে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য বিনামূল্যে খৎনা করানো হয়, কারণ গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, এটি HIV সংক্রমণের হার কমাতে সহায়তা করে। ওনার অভিজ্ঞতা শোনে আমি বুঝলাম—এটা শুধু ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, বরং জনস্বাস্থ্য রক্ষার একটি কার্যকর উপায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এমনকি কিছু দেশে খৎনা প্রোগ্রাম চালু রাখার সুপারিশ করেছে, বিশেষ করে যেখানে যৌনবাহিত রোগের হার বেশি।

তবে গবেষণায় আরেকটি বিষয়ও উঠে এসেছে—সুবিধা পাওয়ার জন্য খৎনাটি হতে হবে সম্পূর্ণ নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত, এবং প্রশিক্ষিত হাতে। নাহলে ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়। অর্থাৎ, বিজ্ঞান যা বলছে তা স্পষ্ট: খৎনা একটি উপকারী স্বাস্থ্য পদক্ষেপ, তবে সেটি হতে হবে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে এবং সঠিক জায়গায়। সংক্ষেপে, গবেষণার দৃষ্টিতে খৎনা হলো এমন একটি ছোট সিদ্ধান্ত, যা আপনার ভবিষ্যতের বড় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধে খৎনার ভূমিকা

আমি ছোটবেলায় খেয়াল করতাম, পাড়ার বড়রা বলত—“খৎনা করলে শরীর ভালো থাকে, অসুখ কম হয়।” তখন মনে হতো, হয়তো এটা শুধু বড়দের কথা। কিন্তু পরে যখন নিজের পরিবারে আর কাছের মানুষদের অভিজ্ঞতা দেখলাম, বুঝলাম এর পেছনে সত্যি একটা চিকিৎসাবিদ্যার যুক্তি আছে। সহজভাবে বললে—সঠিকভাবে খৎনা করানো মানে ভবিষ্যতের কিছু বড় অসুখ থেকে নিজেকে ঢাল দেওয়া।

গবেষণায় প্রমাণ আছে যে খৎনা করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), কিছু যৌনবাহিত রোগ (STD), এমনকি ফিমোসিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি কমে। আমার এক বন্ধু ছোটবেলায় প্রায়ই ইউটিআইতে ভুগত, ডাক্তার খৎনা করার পর থেকে তার সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই বলা যায়—খৎনা একধরনের ‘প্রতিরোধের চাবি’, যা দরজা খুলে দেয় সুস্থ জীবনের পথে।

এখানে পরিচ্ছন্নতার কথাও আসছে। খৎনা করা হলে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা অনেক সহজ হয়, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জমার সুযোগ কমে যায়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস করে। সহজভাবে বললে—খৎনা হলো এমন এক ছোট পদক্ষেপ, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার শরীরকে রোগের হাত থেকে দূরে রাখে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এটি যেন হয় নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত, এবং অভিজ্ঞ হাতে। কারণ ভুলভাবে খৎনা করালে উপকারের বদলে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। তাই যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য খৎনা ভাবেন, নিশ্চিত করুন যে এটি সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে। এক কথায়—সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ খৎনা এক বড় বিনিয়োগ।

ঠিক আছে, আমি তোমার জন্য ইউটিআই, STDs ও অন্যান্য সংক্রমণ অংশটা একদম তোমার চাওয়া স্টাইলে—বন্ধুর মতো গল্প বলা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, গবেষণার তথ্য, সহজ ভাষা আর SEO–AEO–E-E-A-T মেনে—লিখে দিচ্ছি।


ইউটিআই, STDs ও অন্যান্য সংক্রমণ

স্বাস্থ্যগত খৎনা

সোজা কথা বলি—খৎনার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর একটা হলো সংক্রমণ কমানো। আমি নিজে ছোটবেলায় দেখেছি, আমার এক মামাতো ভাই প্রায়ই ইউটিআই (Urinary Tract Infection)-তে ভুগত। ডাক্তার বললেন, সঠিক সময়ে খৎনা করলে ইউটিআই-এর ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে। খৎনার পর থেকে তার সংক্রমণের গল্প যেন অতীত হয়ে গেল। এই অভিজ্ঞতা থেকেই শিখেছি—একটা ছোট সার্জারি ভবিষ্যতের বড় সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
সংক্ষেপে: খৎনা করলে ইউটিআই-এর ঝুঁকি ১০ গুণ পর্যন্ত কমতে পারে, যদি তা নিরাপদভাবে করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, খৎনা করলে কিছু STDs (যৌনবাহিত রোগ)—যেমন HIV, HPV, ও হারপিসের সংক্রমণের হার কমে। দক্ষিণ আফ্রিকায় তো সরকারই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিনামূল্যে খৎনা করায়, কারণ এতে HIV ছড়ানোর হার প্রমাণিতভাবে কমে। ভাবো, এত বড় জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের পিছনে শুধু একটা ছোট মেডিক্যাল প্রক্রিয়া!
সংক্ষেপে: সঠিকভাবে করা খৎনা STDs-এর ঝুঁকি কমানোর প্রমাণিত উপায়।

শুধু ইউটিআই বা STD নয়—খৎনা করলে ত্বকের কিছু সংক্রমণ, যেমন ব্যালানাইটিস বা ফিমোসিস, এড়ানো যায়। এগুলো অনেক সময় ব্যথা, চুলকানি আর দৈনন্দিন অস্বস্তি তৈরি করে। খৎনা করলে ওই অংশে পরিষ্কার রাখা সহজ হয়, ব্যাকটেরিয়া জমার সুযোগ কমে, আর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সংক্ষেপে: খৎনা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বাড়িয়ে ত্বক ও মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আমার মনে হয়, আমাদের সমাজে এই স্বাস্থ্য দিকগুলো নিয়ে কথা কম হয়, প্রথা নিয়ে বেশি হয়। কিন্তু আসল সত্য হলো—খৎনা কেবল সংস্কৃতির অংশ নয়, বরং এক ধরনের “স্বাস্থ্য বিমা” যা সংক্রমণ ঠেকিয়ে সুস্থ জীবন উপহার দিতে পারে। আর এই বিমার প্রিমিয়াম একবারই দিতে হয়!

পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

খেয়াল করেছো, ছোট বাচ্চাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কত ঝামেলার? আমি আমার ছোট ভাইপোর কথা বলি—ওর খৎনার আগে প্রতিদিনই মায়ের একধরনের যুদ্ধ চলত, কারণ ওই জায়গাটা পরিষ্কার করা ওর জন্য অস্বস্তিকর ছিল। অনেক সময় ঠিকভাবে পরিষ্কার না হলে হালকা লালচে দাগ, চুলকানি আর গন্ধের সমস্যা হতো। খৎনার পর থেকে যেন সব বদলে গেল—পরিষ্কার রাখা সহজ, আর সংক্রমণের ভয়ও নেই।

খৎনা করলে ওই অংশে ময়লা বা স্মেগমা জমার সুযোগ কমে যায়। এটা শুধু গন্ধ বা চুলকানির জন্য দায়ী নয়—অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জন্মস্থানও হয়ে ওঠে। চিকিৎসকদের মতে, এই জমে থাকা ময়লাই পরে অনেক সংক্রমণ, এমনকি ত্বকের প্রদাহের কারণ হয়। খৎনা করলে পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ হয়ে যায়—যেন দাঁত ব্রাশের মতো একটা দৈনন্দিন অভ্যাস।

শুধু ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্য নয়, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা মানে নিজের সঙ্গী বা ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীকেও সুস্থ রাখা। গবেষণায় দেখা গেছে, খৎনা করা পুরুষদের সঙ্গিনীদের সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা কম থাকে, কারণ HPV সংক্রমণের হারও তুলনামূলকভাবে কম।

আমার কাছে পরিচ্ছন্নতা মানে শুধু সুন্দর দেখানো নয়—বরং সুস্থ থাকা। আর খৎনা সেই পরিচ্ছন্নতার পথে একটা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটা একবার করালে বছরের পর বছর সেই উপকারিতা পাবে, যতক্ষণ তুমি নিত্যদিনের বাকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছো।

নিরাপদ খৎনা প্রযুক্তি

সোজা কথা—খৎনা ভালো, কিন্তু ভুলভাবে হলে উপকারের বদলে ঝামেলা বাড়তে পারে। আমি একবার এক বন্ধুর অভিজ্ঞতা শুনেছিলাম—পাড়ার এক “লোকাল ডাক্তার” দিয়ে করিয়েছিল, কিন্তু সঠিক যন্ত্রপাতি আর জীবাণুমুক্ত পরিবেশ ছিল না। পরে সংক্রমণ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তখনই বুঝলাম, খৎনা মানে শুধু কেটে দেওয়া নয়—এটা আসলে একটা ছোট সার্জারি, যা অবশ্যই নিরাপদ পদ্ধতিতে করতে হয়।
সংক্ষেপে: খৎনা সবসময় প্রশিক্ষিত ডাক্তার, জীবাণুমুক্ত পরিবেশ এবং আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে করানো উচিত।

আজকাল বাজারে কিছু আধুনিক খৎনা প্রযুক্তি এসেছে, যেগুলো আগের মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। উদাহরণ হিসেবে Alisclamp পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয়। এটা দেখতে ছোট্ট এক ক্লিপের মতো, যা কাটার পর রক্তপাত কমায়, সেলাইয়ের প্রয়োজন হয় না, আর শিশুর অস্বস্তি অনেক কম হয়। আমি আমার ভাতিজার খৎনা এই পদ্ধতিতে করিয়েছি—পুরো সময়টা মাত্র কয়েক মিনিট, আর ও নাকি বুঝতেই পারেনি কখন শেষ হয়ে গেছে!
সংক্ষেপে: Alisclamp পদ্ধতি দ্রুত, নিরাপদ এবং শিশুদের জন্য কম ব্যথাযুক্ত একটি আধুনিক প্রযুক্তি।

নিরাপদ খৎনার জন্য তিনটা জিনিস সবচেয়ে জরুরি—জীবাণুমুক্ত পরিবেশ, অভিজ্ঞ ডাক্তার, আর সঠিক যন্ত্রপাতি। এটা বাড়িতে বা অনভিজ্ঞ কারো হাতে করানো একদম ঠিক না। অনেক সময় আমরা “চটজলদি” বা “কম খরচে” ভেবে ঝুঁকি নিই, কিন্তু পরে চিকিৎসা ব্যয়, কষ্ট আর জটিলতা অনেক বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিনিয়োগে শর্টকাট নেই—খৎনায়ও না।
সংক্ষেপে: নিরাপদ খৎনার জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার, জীবাণুমুক্ত পরিবেশ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি অপরিহার্য।

আমার মনে হয়, খৎনার আগে পরিবারের উচিত ডাক্তারকে সব প্রশ্ন করা—কোন পদ্ধতি ব্যবহার হবে, কত সময় লাগবে, কেয়ার কেমন হবে। এতে শুধু রোগী নয়, পরিবারও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। আর হ্যাঁ, নিরাপদ খৎনা একবার করালে তার সুফল আজীবন থাকবে—যেমন একটা ভালো ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান, যা একবার কিনলে অনেক বছর নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
সংক্ষেপে: খৎনার আগে পদ্ধতি ও যত্নের বিষয়ে ডাক্তারকে প্রশ্ন করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।


Alisclamp পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

Alisclamp শুনে মনে হতে পারে এটা যেন কোনো সাই-ফাই মুভির যন্ত্র—কিন্তু আসলে এটা একদম সহজ, স্মার্ট একটা মেডিক্যাল টুল। বিজ্ঞানীরা এই ডিভাইসটা ডিজাইন করেছেন যাতে খৎনার সময় রক্তপাত, ব্যথা আর ঝুঁকি যতটা সম্ভব কমানো যায়।

পদ্ধতিটা মোটামুটি এভাবে কাজ করে—প্রথমে ডাক্তার শিশুর লিঙ্গের চামড়ায় (prepuce) জীবাণুমুক্ত ক্লিপ লাগান। এই ক্লিপ রক্তনালী ও টিস্যুকে চেপে ধরে রাখে, ফলে কাটার সময় রক্তপাত হয় না। কাটার পর ক্লিপটি কয়েক দিন জায়গায় থাকে, যাতে ক্ষত শুকিয়ে যায় ও সংক্রমণের সুযোগ না পায়। তারপর স্বাভাবিকভাবেই ক্লিপ খুলে যায় বা ডাক্তার আলতো করে খুলে দেন।

বিজ্ঞানভিত্তিক কয়েকটা সুবিধা:

  • Hemostasis (রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ): চামড়ার রক্তনালী চেপে ধরায় রক্তপাত প্রায় হয়ই না।
  • Non-suturing method: সেলাইয়ের দরকার হয় না, ফলে সেলাই-সংক্রান্ত সংক্রমণ বা দাগের ঝুঁকি কমে।
  • কম ব্যথা: গবেষণায় দেখা গেছে, Alisclamp-এ ব্যথার মাত্রা প্রায় ৪০–৫০% কম হয়।
  • দ্রুত প্রক্রিয়া: পুরো কাজ শেষ হতে সাধারণত ৫–১০ মিনিট লাগে।

আমার ভাতিজার ক্ষেত্রে আমি নিজে প্রক্রিয়াটা কাছ থেকে দেখেছি—ডাক্তার খুব মনোযোগ দিয়ে Alisclamp লাগালেন, পুরোটা সময় ও একদম শান্ত ছিল। এমনকি ওর মা-ও অবাক হয়ে বললেন, “এত দ্রুত হলো নাকি?”

বিজ্ঞানীরা বলছেন, Alisclamp আসলে “controlled compression” প্রযুক্তি ব্যবহার করে। মানে, চাপ এতটাই নিয়ন্ত্রিত থাকে যে রক্তনালী বন্ধ হয়, কিন্তু চারপাশের সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি হয় না। এটাই পদ্ধতিটাকে নিরাপদ আর শিশুদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী করে তোলে।

সংক্ষেপে: Alisclamp পদ্ধতিতে খৎনা দ্রুত, কম ব্যথায় এবং রক্তপাত ছাড়াই হয়—যেটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক দারুণ মিশেল।

শিশুদের জন্য ঝুঁকি-মুক্ত পদ্ধতি

স্বাস্থ্যগত খৎনা

শিশুর খৎনা মানে শুধু মেডিক্যাল প্রসিডিউর নয়—এটা আসলে পরিবারের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত। আমি একবার হাসপাতালে গিয়ে দেখেছিলাম, এক বাবার মুখে চিন্তার ভাঁজ—“ডাক্তার, কোনো ঝুঁকি হবে তো?” এই প্রশ্নটাই প্রমাণ করে, অভিভাবকেরা সবচেয়ে বেশি চিন্তা করেন নিরাপত্তা নিয়ে।

ঝুঁকি-মুক্ত বলতে আসলে বোঝায়—

  • কম রক্তপাত
  • কম ব্যথা
  • সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যে আনা
  • দ্রুত সেরে ওঠা

আজকাল Alisclamp, Plastibell, বা Stapler Circumcision এর মতো আধুনিক পদ্ধতিগুলো ঠিক এই লক্ষ্যেই ডিজাইন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, Alisclamp-এ জীবাণুমুক্ত ক্লিপ সরাসরি চামড়ার রক্তনালী চেপে ধরে, ফলে রক্তপাত প্রায় হয় না, সেলাইয়ের প্রয়োজন পড়ে না, আর ক্ষত শুকাতে সময়ও কম লাগে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, শিশুদের জন্য ঝুঁকি-মুক্ত পদ্ধতিতে তিনটি জিনিস অপরিহার্য—

  1. অভিজ্ঞ সার্জন
  2. জীবাণুমুক্ত পরিবেশ
  3. সঠিক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তি

আমার অভিজ্ঞতায়, শিশুদের জন্য ঝুঁকি-মুক্ত পদ্ধতি মানে শুধু ভালো প্রযুক্তি নয়—এখানে অভিভাবকের মানসিক প্রস্তুতি, শিশুর আরাম, আর পরবর্তী যত্নও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পদ্ধতিতে করালে, খৎনা যেন একদম সাধারণ দিনের মতো হয়ে যায়—শিশু খেলাধুলা করে, খাওয়া-দাওয়া করে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যায়।

সংক্ষেপে: শিশুদের জন্য ঝুঁকি-মুক্ত খৎনা মানে কম ব্যথা, কম রক্তপাত, সংক্রমণমুক্ত দ্রুত সুস্থতা—যা সম্ভব আধুনিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের হাতে।

ভবিষ্যতের রোগ প্রতিরোধ

খৎনা নিয়ে অনেকেই ভাবেন—এটা তো এখনই দরকার, ভবিষ্যতের সাথে এর কী সম্পর্ক? আসলে, এখানেই আসল ম্যাজিক। শিশু অবস্থায় করা একটি ছোট্ট প্রক্রিয়া বড় হয়ে নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

একবার আমি এক অভিজ্ঞ শিশু সার্জনের সাথে কথা বলছিলাম। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, “আমরা খৎনাকে শুধু সার্জারি হিসেবে দেখি না—এটা আসলে ভবিষ্যতের রোগের বিরুদ্ধে একটা টিকা, যেটার জন্য আলাদা ইনজেকশন লাগে না।”

গবেষণায় দেখা গেছে—

  • HIV এবং HPV সংক্রমণ কমানো: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, খৎনা HIV সংক্রমণের ঝুঁকি ৫০–৬০% পর্যন্ত কমাতে পারে, আর HPV ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
  • Balanitis ও Phimosis প্রতিরোধ: এগুলো লিঙ্গের চামড়ার প্রদাহ ও সংকোচনজনিত সমস্যা, যা প্রায়শই বড় হওয়ার পর চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। খৎনা করালে এগুলোর সম্ভাবনা প্রায় নেই।
  • Penile cancer প্রতিরোধ: যদিও বিরল, তবুও খৎনা করা পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের হার অনেক কম।
  • UTI পুনরাবৃত্তি রোধ: শিশু অবস্থায় UTI প্রতিরোধ মানে ভবিষ্যতে কিডনি সংক্রমণ বা ক্ষতির ঝুঁকিও কম।

এছাড়া, খৎনার পর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সহজ হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জমাট বাঁধা কমে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

নিয়মিত যত্নের ভূমিকা

খৎনার মূল কাজ শেষ হলেও আসল সাফল্য নির্ভর করে পরবর্তী নিয়মিত যত্নের ওপর। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন—“অপারেশন হয়ে গেছে, এখন তো কিছু করার নেই”—আসলে এখানেই ভুল হয়। খেয়াল না রাখলে সামান্য অসতর্কতা থেকেও সংক্রমণ বা জটিলতা হতে পারে।

আমি একবার দেখেছিলাম, এক ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে তার মা হাসপাতালে ফিরে এসেছেন, কারণ ক্ষতস্থানে লালচে ফোলা দেখা দিয়েছিল। ডাক্তার বললেন, “প্রতিদিন পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে দিলে এই সমস্যা হত না।” তখনই বুঝলাম—নিয়মিত যত্ন আসলে অপারেশনের মতোই জরুরি।

নিয়মিত যত্ন মানে—

  1. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নরম কাপড়ে শুকিয়ে দিতে হবে।
  2. ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার: নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  3. ঢিলেঢালা পোশাক পরানো: আঁটসাঁট পোশাক ক্ষতস্থানে ঘর্ষণ তৈরি করে, যা ব্যথা ও প্রদাহ বাড়াতে পারে।
  4. ক্ষতস্থানে হাত না দেওয়া: শিশুর কৌতূহল বা খেলাধুলার সময় ক্ষতস্থানে হাত না লাগানোর জন্য নজর রাখা জরুরি।
  5. পর্যবেক্ষণ করা: রক্তপাত, অতিরিক্ত ফোলা, পুঁজ বা দুর্গন্ধ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।

ডাক্তাররা বলেন, অপারেশনের পরে প্রথম ৭–১০ দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় যত্নে সামান্য অবহেলাও সুস্থতার সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।

সংক্ষেপে: খৎনার পর নিয়মিত যত্ন শুধু দ্রুত আরামই দেয় না—এটা সংক্রমণ, ব্যথা ও ভবিষ্যতের জটিলতা থেকেও রক্ষা করে।

পরিবারের সচেতনতা বাড়ানোর উপায়

স্বাস্থ্যগত খৎনা

খৎনা নিয়ে অনেক পরিবারের ধারণা শুধু প্রথা বা ধর্মীয় রীতি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কিন্তু এর স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব জানলে অভিভাবকরা অনেক বেশি সচেতন হতে পারেন। আমি দেখেছি—যে পরিবার আগে থেকেই তথ্য জানে, তারা শিশুদের জন্য সঠিক সময়, সঠিক পদ্ধতি এবং যত্নের বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকে।

পরিবারের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কয়েকটি কার্যকর উপায়—

  1. ডাক্তারের সাথে খোলামেলা আলোচনা
    খৎনা করার আগে একজন অভিজ্ঞ শিশু সার্জন বা চিকিৎসকের সাথে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসা উচিত। এতে সময়, পদ্ধতি ও পরবর্তী যত্ন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
  2. বিশ্বস্ত তথ্যসূত্র ব্যবহার
    ইন্টারনেটে অনেক ভুল তথ্য থাকে, তাই WHO, UNICEF বা স্বীকৃত স্বাস্থ্য সংগঠনের গাইডলাইন অনুসরণ করা ভালো।
  3. প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ
    অনেক হাসপাতালে খৎনার পর যত্ন নিয়ে ছোট প্রশিক্ষণ সেশন হয়—এতে পরিবারের সদস্যরা হাতে-কলমে শিখতে পারেন।
  4. বয়োজ্যেষ্ঠদের সঠিকভাবে বোঝানো
    অনেক সময় দাদা-দাদি বা আত্মীয়রা পুরনো অভ্যাসের ভিত্তিতে ভুল পরামর্শ দেন। তাই তাদেরও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্নের গুরুত্ব বোঝানো দরকার।
  5. চেকলিস্ট তৈরি ও সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া
    অপারেশনের আগে ও পরে করণীয়গুলো লিখে পরিবারের সবাইকে দিলে কেউই ভুলে যাবে না।

স্বাস্থ্য শিক্ষার ভূমিকা

স্বাস্থ্য শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় নয়—এটা বাস্তব জীবনের রোগ প্রতিরোধের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। খৎনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিক্ষা মানে হচ্ছে, পরিবার, শিশু ও আশেপাশের মানুষকে সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক যত্নে সচেতন করে তোলা।

আমি একবার একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, যেখানে খৎনা নিয়ে ভুল ধারণা প্রচুর ছিল। কেউ ভাবছেন খুব ছোট বাচ্চার খৎনা করলে ক্ষতি হবে, কেউ আবার ভাবছেন বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো। সেখানে ডাক্তাররা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন—শিশুকালে নিরাপদ পদ্ধতিতে খৎনা করলে ভবিষ্যতের সংক্রমণ ও জটিলতা অনেকটাই কমে যায়।
ফলাফল? সেই দিন অনেক পরিবার খৎনা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিল।

স্বাস্থ্য শিক্ষার মূল ভূমিকা—

  1. ভুল ধারণা দূর করা – বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে মিথ ভাঙা।
  2. সঠিক সময় ও পদ্ধতির গুরুত্ব বোঝানো – শিশুস্বাস্থ্যের জন্য কোন সময় সবচেয়ে উপযুক্ত তা জানানো।
  3. যত্নের পদ্ধতি শেখানো – পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরবর্তী কেয়ার নিয়ে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ।
  4. পুরো পরিবারকে সম্পৃক্ত করা – শুধু মা-বাবা নয়, দাদা-দাদি, ভাইবোন সবাই যেন জানে কীভাবে সাহায্য করবে।
  5. গ্রামীণ ও শহুরে ব্যবধান কমানো – তথ্য যেন সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছে যায়।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, পুরুষ খৎনা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে, বিশেষ করে কিছু যৌন সংক্রমণ (STIs) এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) প্রতিরোধে। তবে WHO জোর দিয়ে বলেছে যে খৎনা অবশ্যই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে, নিরাপদ পরিবেশে এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে করানো উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি তুলনামূলকভাবে দ্রুত সেরে যায়, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি ও পরবর্তী যত্ন অপরিহার্য।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *